সেনাবাহিনী সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ইউনিফর্ম(পোষাক)নকল করে-শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে গনহত্যার নিষিদ্ধ লীগ গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে!
কুমিল্লা রানিরবাজারে বিশেষ অভিযান: সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড়সহ কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্য আটক।
সংবাদ বিজ্ঞাপ্তি:৪জুন২০২৫ইং কুমিল্লা রানিরবাজারে বিশেষ অভিযান:সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড়সহ কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্য আটক।৩৩ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের ২৩ বীর-এর আওতায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার রানিরবাজার এলাকায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের চার সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়। অভিযানে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৩ গজ ইউনিফর্ম কাপড়সহ বিভিন্ন অবৈধ ও সন্দেহজনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।অভিযান শেষে আটককৃতদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।উদ্ধারকৃত মালামাল সমূহ:১। ইয়াবা (মাদক)৭৮ টি,
২। মোবাইল ফোন – ৯ টি
৩। পাওয়ার ব্যাংক – ১ টি
৪। চাপাতি – ১ টি
৫। কুড়াল – ১ টি
৬। বড় ছুরি – ১ টি
৭। কাঁচি – ২ টি
৮। কাটিং প্লাস – ১ টি
৯। সিসিটিভি ডিভিআর – ১ টি
১০। সেলাই রেঞ্জ – ১ টি
১১। বাটুল (লোহার বস্তু) – ১ টি।
১২। স্ক্রু ড্রাইভার – ২ টি
১৩। গাঁজা – ২৫০ গ্রাম
১৪। ছুরি – ১ টি
১৫। সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড় – ৩ গজ।
আটককৃত গ্যাং সদস্যদের পরিচয়:
১। চয়ন চন্দ্র শীল,পিতা: দিলীপ চন্দ্র শীল,মাতা: রত্না রানী শীল,গ্রাম: কোরপাই, থানা: কোতয়ালি, জেলা: কুমিল্লা
২। মোঃ ফরিদ,পিতা: হানিফ,মাতা: আলেয়া বেগম,
গ্রাম: চম্পক নগর, পোস্ট: দুর্গাপুর,থানা: কোতয়ালি, জেলা: কুমিল্লা।
৩। নাসির উদ্দিন
পিতা: কাজল মিয়া,মাতা: সেলিনা বেগম,
গ্রাম: সুলতানপুর, থানা: দেবীদ্বার, জেলা: কুমিল্লা।
৪। তুহিন
পিতা: কবির উদ্দিন,মাতা: মোমেনা বেগম,গ্রাম ও পোস্ট: সুলতানপুর,থানা: দেবীদ্বার, জেলা: কুমিল্লা।
কুমিল্লার কলম দীর্ঘ অনুসন্ধান প্রকাশঃ
স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকিতে-নিষিদ্ধলীগ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে-অবাধে উভয় দেশে।টার্গেটঃ-সরকারি স্থাপনা ও দেশপ্রেমী ছাত্র জনতা তথা বৈষম্য বিরোধী স্বাধীনতা ভোটাধিকার ডাকাতি করে দেশপ্রেমী সেনা নিধন পিলখানা,ধর্মপ্রাণ মুসলিম নিধন ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর, অসংখ্য বন্দুক যুদ্ধে(গুলি করে পরিকল্পিত মানুষ হত্যা),আয়নাঘর,দেশের অর্থ বিদেশ পাচার,সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় কুখ্যাত আওয়ামী লীগ,তাদের আশ্রয় দেওয়া মানেই নিজেরাও অপরাধী।এখন টাকা আর ক্ষমতার লোভে যারা খুনিদের পূর্নবাসন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন-তাঁরাও আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে।
সরজমিনে দীর্ঘ অনুসন্ধানে স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে প্রকাশঃনিষিদ্ধলীগ জিরো পয়েন্টে উভয় দেশে অবাধে,শুধু বিপ্লবী স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করতে-তাদের টার্গেট বাংলাদেশ।এবার মিশন ১৬বছরের চেয়েও বেশি ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যেমনটা ফিলিস্তিন,কাশ্মীর এর মতো মুসলিম নিধন।এরই অংশ হিসেবে সরকার ও ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে!
সরজমিনে অনুসন্ধান সূত্র ধরে প্রকাশঃকুমিল্লা আদর্শ সদরের ৫নং পাঁচথুবী ইউনিয়নের গোলাবাড়ী সীমান্তে (বিজিবি চেকপোস্টের আদুরে)আব্দুল মান্নান ভূইয়ার ওরফে মনা মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন বাপ্পী(৩৯) যুবলীগ সভাপতি,সে ফ্যাসিস্ট আমলে অস্ত্র মাদক ও হুন্ডি কারবারে কালো টাকার পাহাড়ে।তাঁদের নিয়ন্ত্রিত কিশোরগ্যাং এর সশস্ত্র লীগ আরও ভয়ংকর রূপে ইতিপূর্বে একাধিক স্থানে শোডাউন করেছে।গন অভ্যূত্থানে মানবতা বিরোধী গনহত্যার ফ্যাসিবাদ পলায়নে০৫আগস্ট২০২৪ইং-পরবর্তী এখন বাপ্পীরা বিএনপি পরিচয় দিয়ে-সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে।ছাত্র জনতার উপর পরিকল্পিত হামলা ও কথিত আন্দোলনের নামে সহিংসতার লক্ষ্যে অস্ত্রলীগ অভিনব কৌশলে-সীমান্ত গোলাবাড়ি,বিষ্ণুপুর ও বৈয়ারাবাজার জিরোপয়েন্টে পলাতক নেতাদের সাথে নিয়মিত বৈঠক করেছে।একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় অবাধে স্বাধীনতা বিরোধী নিষিদ্ধ সংগঠনিক কাজ করছে।কুমিল্লা শহরের মনোহরপুর সোনালী ব্যাংক এলাকায় আস্তানা বাপ্পীদের,আবাসিক এলাকায় একটি প্রভাবশালী নেতাকে ফ্ল্যাট দিয়ে-নিরাপদে কুমিল্লা কার্যক্রম চালাচ্ছে।উল্লেখ্য,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই৩৬ গনহত্যায় বাহার লীগ সরাসরি জড়িত,বর্তমানে সীমান্তে ওই মাফিয়া চক্র সক্রিয়!
গোলাবাড়ি সীমান্তের দ্বায়িত্বে যুবলীগ সভাপতি বাপ্পি,ইকবাল হোসেন বাহালুল সাবেক চেয়ারম্যান,সবুজ,জসিম,সৈয়দ অলি ওরফে অলু।বিষ্ণুপর সীমান্তে রাজু সাবেক চেয়ারম্যান ও আওমী ইকবাল হোসেন বাহারল ,আওয়ামী নেতা কামাল ওরফে লাইন ম্যান কামাল(৫০)বিষ্ণুপুর গং দ্বায়িত্বে।
বিবির বাজার সীমান্তে সাবেক চেয়ারম্যান মামুন ও মেম্বার মোতাহার,মেম্বার শফিক,যুবলীগ নেতা সহিদ(সাবেক জিএস),ভাগিনা দক্ষিণচর্থা এলাকার মাহে আলমের পুত্র আমজাদ হোসেন ওরফে কালা রিপন(৩৮)গংবৈয়ারাবাজার সীমান্তের দ্বায়িত্বে।
এলাকাবাসীর দাবি, ভারত এবং বাংলাদেশে যৌথ নাগরিকত্ব তাদের।গোলাবাড়ি বাপ্পী উভয় দেশেই দাপটে আশা যাওয়া করে- মানুষ হত্যা,অপহরণ মুক্তিপন আদায়,নারী নির্যাতন,মাদক,অস্ত্র কারবারে লাগামহীন।শুধু তাই নয়,গোলাবাড়ি ক্যাম্প সংলগ্ন গোমতী নদীর খেয়া ঘাট দখল করে (সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে)খেয়া পারাপারে টাকা তুলে,অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন এখনো বহাল তবিয়তে।উভয় দেশে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ী,গাড়ি ও অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়ছে।দেশের শান্তি শৃঙ্খলা তথা স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টায় রয়েছে।চক্রের একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী অস্ত্রলীগের সেতু(৩৯)কে ডিবি গ্রেফতার করেছে।বিজিবি বলছে,ভারতীয় অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে তাঁরা কঠোর অবস্থানে আছে।অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ দিক:উদ্ধারকৃত সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড় একটি স্পর্শকাতর নিরাপত্তাজনক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিশোর গ্যাং সদস্যদের এই ধরনের তৎপরতা ভবিষ্যতে বড় ধরণের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ২৩ বীর-এর এমন সঠিক ও কৌশলী অভিযানে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা হয়ে থাকবে।