চৌদ্দগ্রামে বিগত খুন,গুম ও আগুন সন্ত্রাসের কুখ্যাত প্রাক্তন রেলমন্ত্রী(ভোট চোর) মুজিবুল হক বাহিনীর শুটার সোহেল গ্রেফতার
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ২৭সেপ্টেম্বর২০২৫,
কুমিল্লা ২৩ বীর ও সিপিসি-২, র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে চৌদ্দগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট সোহেল অবশেষে আটক
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অঞ্চলের সবচেয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক চোরাকারবারি মোঃ সোহেল মিয়াজীকে গ্রেফতার করেছে ২৩ বীর এবং সিপিসি-২, র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযান দল। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাত ৯টার দিকে টিক্কার চর এলাকায় সেনা ও র্যাবের বিশেষ টহল অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোহেল চৌদ্দগ্রাম জুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। সে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ঘনিষ্ঠ গুন্ডা বাহিনীর অন্যতম নেতৃত্বশীল ব্যক্তি। স্থানীয় যুবক রাহাত হত্যা মামলার মূল আসামি সোহেলকে এলাকাবাসী “খুনি সোহেল” নামে চেনে।
আসামির বৃত্তান্তঃ নাম: মোঃ সোহেল মিয়াজী, পিতা: মৃত আঃ বারেক, মাতা: মনোয়ারা বেগম, ঠিকানা: স্থায়ী : গ্রাম- রামরায়গ্রাম, উপজেলা/থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা, বাংলাদেশ স্থায়ী-১: গ্রাম- রামরায় গ্রাম (বর্তমান সাং-মিয়াজী বাড়ি ওয়ার্ড নং-৮) পৌরসভা), উপজেলা / থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা, বাংলাদেশ। স্থায়ী:-: গ্রাম- বৈদ্দেরখিল (সোহেলের নতুন বাড়ী) ওয়ার্ড নং-৭, পৌরসভা), উপজেলা/থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লা, বাংলাদেশ।
সোহেলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে চৌদ্দগ্রাম থানায় তিনটি মামলা রয়েছে—_
১। (5LNQ7) এফআইআর নং-৪১, তারিখ- ৩০ জুন, ২০২৫; জি আর নং-২৬৩, সময়- ২০:০৫ ঘটিকা; ধারা- ১৪৩/৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি, ১৮৬০।
২। (1JV8C) এফআইআর নং-২৮/৩০১, তারিখ- ২১ নভেম্বর, ২০২০; জি আর নং-৩০১, সময়- ১০:৩৫ ঘটিকা; ধারা- ৩৬(১) সারণির ১৩(গ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮।
৩। (19PC5) এফআইআর নং-৪/১৯৮, তারিখ- ০৩ মে, ২০১৯; সময়- ০৮:২৫ ঘটিকা; ধারা- ৩৬(১) সারণির ১৩(খ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮।
সোহেল দীর্ঘদিন ধরে চৌদ্দগ্রামের সবচেয়ে পরিচিত অবৈধ মাদক আমদানিকারক হিসেবে কুখ্যাত ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট তাকে চৌদ্দগ্রাম এলাকায় প্রকাশ্যে শটগান হাতে দেখা যায় (ছবি সংযুক্ত)। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
অভিযানের সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে সেনা টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সোহেলকে উদ্ধার করে। তার সাথে নজরুল ইসলাম রনি নামক তার এক বন্ধু কে পাওয়া যায় এবং জানা যায় যে রনি তার ব্যবসায়িক অংশীদার। তবে রনির নামে কোন মামলা বা অভিযোগ পাওয়া যায় নাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রনি কে ছেড়ে দিয়েছে। তবে রনির নামে বা পরবর্তীতে সোহেল এর সাথে তার কোন রকম সম্পর্ক পাওয়া গেলে তাঁকে আবার আটক করা হবে এবং রেমান্ডে নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে সেনাবাহিনীর বক্তব্য একবারে পরিষ্কার এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। সেনাবাহিনী আরো জানিয়েছে যে শিহাব এর সাথে সোহেল এর সম্পর্ক থাকতে পারে। শিহাব এর অস্ত্র মামলা ও আছে।
২৩ বীর ও র্যাব-১১ এর ওর জানায়, সোহেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।